Advertisement

৪০ জলমানবের বাংলা চ্যানেল পাড়ি


অনলাইন ডেস্ক:

বঙ্গোপসাগরে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিনস পর্যন্ত বাংলা চ্যানেল হিসেবে পরিচিত ১৬.১ কিলোমিটার সাগরপথ সাঁতরে পাড়ি দিতে নাম লিখিয়েছেন ৪৩ জন জলমানব। এর মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকি সবাই সফলভাবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।

সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট থেকে সাঁতার শুরু হয়। ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলার আয়োজনে ১৫তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতায় একজন ফরাসি নাগরিক, দুজন নারী ও দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।

এবারের প্রতিযোগিতায় ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় নিয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড করেছেন রাব্বি রহমান। এ ছাড়া ৩ ঘণ্টা ৩১ মিনিট সময় নিয়ে ঢাকসুর সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম রাসেল দ্বিতীয় এবং ৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট সময় নিয়ে সুজা মোল্লা তৃতীয় হয়েছেন। এ ছাড়া দুই নারী প্রতিযোগী মৌনতা আফরিন ও সোমা রায় সফলভাবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।

ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেন, চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এ আয়োজন করা হয়েছে। এটি আমাদের ১৫তম আসর। শুরু থেকে প্রতিটি আসরে আমি অংশ নিয়েছি এবং সফলভাবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছি। এবারো আমিসহ আরো ৪৩ জন প্রতিযোগী বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এর মধ্যে ৪০ জন সফলভাবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন।

প্রসঙ্গত, পানিতে ডুবে মৃত্যু থেকে রক্ষা পেতে এবং মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্ব আরোপ করতে এ সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। স্পোর্টস অ্যাডভেঞ্চারকে উৎসাহিত করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি এই চ্যানেলকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচয় করার লক্ষ্যে গত ১৪ বছর ধরে এই আয়োজন করা হচ্ছে।

এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারের সহ-আয়োজক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও পর্যটন বোর্ড, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ফরচুন গ্রুপ, পৃষ্ঠপোষক ভিসা থিং ও এনসিসি ব্যাংক, অংশীদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্টুডিও ঢাকা ও ষড়জ এবং রেসকিউ পার্টনার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়। মূলত এটির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। তাঁর তত্ত্বাবধানেই প্রথমবারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ ২০০৬ সালে 'বাংলা চ্যানেল' পাড়ি দেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই এই আয়োজন হচ্ছে। আস্তে আস্তে এটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পাচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments