নতুন বছরের শুরুতেই জেলা সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই পেতে যাচ্ছে।এবারে করোনা সংকটে বই উৎসব হবেনা। সামাজিক দুরত্বে বই বিতরনের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানগন।
সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর জালালাবাদ, ইসলামাবাদ,ইসলামপুর,পোকখালী এবং ঈদগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধির আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনতেছে নতুন বছরের নতুন পাঠ্যবইয়ের আশায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অভিভাবকদের সাথে গিয়ে নতুন বই নেবে এমনি আশায় রয়েছে ছাত্রছাত্রীরা।অনেক শিক্ষার্থী
ভোমরিয়াঘোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাব্বির আহমদ জানান, নতুন বছরের প্রথম দিন (১লা জানুয়ারী) বই বিতরন করা হবে। তবে উৎসব ও জনসমাগম নয়।
জালালাবাদ মাইজ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দীন এ প্রতিবেদককে জানান, বছরের প্রথম দিন সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে নো মাস্ক, নো সার্ভিসের ভিত্তিতে উৎসব ছাড়াই বই বিতরন করা হবে। পর্যায়ক্রমে এ বই বিতরন চলবে।
ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিক আহমদ জানান, উপজেলা পর্যায়ে নিদের্শনার আলোকে নতুন বছরের শুরুর দিন বই বিতরন করা হবে। যতদিন শিক্ষার্থীরা বই হাতে পাবেনা, ততদিন বই বিতরন করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সূত্রে জানা যায়, ১লা জানুয়ারী সকল বিদ্যালয়ে সকল শ্রেণির বই আবশ্যিকভাবে বিতরণ করতে হবে, বই বিতরণ ও বিতরণ সংক্রান্ত অন্যান্য সকল কাজে সকল শিক্ষক আবশ্যিকভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে বই গ্রহণ করবে, শ্রেণিভিত্তিক আলাদা আলাদা গ্রুপ ও বুথ করে বই বিতরণ করতে হবে, বই বিতরণের আগের দিন শিক্ষার্থীভিত্তিক বই প্যাকেট করে নিতে হবে, বই বিতরণের সাথে সাথে শিশুদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে, বই বিতরণে কোন ধরনের উৎসব ও জন সমাগম করা যাবে না, বই বিতরণের দিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন, নো মাস্ক, নো সার্ভিস নীতি অনুসরণ করতে হবে।
0 Comments