Advertisement

প্রেম, দেড় বছর সংসার, তারপর স্ত্রীকে খতম!

অনলাইন ডেস্ক: 

যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে কিশোরগঞ্জ কারাগারের কারারক্ষী মো. খাইরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। আহত রুমা আক্তারকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠানো হলে পথে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।              

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের সরকারি কোয়ার্টারে কারারক্ষী মো. খাইরুল ইসলামের নির্যাতনের শিকার হয়ে স্ত্রী রুমা আক্তার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু রুমার অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার বিকালে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার সময়  সন্ধ্যার পর পথে তার মৃত্যু হয়। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কারারক্ষী খাইরুলের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলা থেকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে কটিয়াদী উপজেলার পূর্ব মন্ডলভোগ গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে রুমা আক্তারের। দেড় বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। খাইরুল ইসলাম টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। 

বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই খাইরুল ইসলামের পরিবার থেকে যৌতুকের দাবিতে চাপ সৃষ্টি করা হতো। এমন পরিস্থিতিতে রুমার পরিবার স্বামী খাইরুল ইসলামকে যৌতুক হিসেবে নগদ তিন লাখ টাকা এবং তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়। তারপরও আরো যৌতুকের টাকার জন্য রুমার উপর চলানো হতো নির্যাতন। এই নির্যাতনের শিকার হয়ে মঙ্গলবার রুমা মারা যায় বলে অভিযোগ করছে পরিবার। 

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় রুমা  আক্তারের মা থানায় অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে কটিয়াদী মডেল থানার বাট্টা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ পশ্চিম মন্ডলভোগ এলাকা থেকে অভিযুক্ত কারারক্ষী খাইরুল ইসলামকে আটক করেছে। তাকে কটিয়াদী থানায় নেওয়া হয়েছে। 

কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ জানান, খাইরুল ইসলাম অসুস্থতার জন্য চিকিৎসাজনিত কারণে ছুটিতে ছিল। তবে ইতিমধ্যেই স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে খবর পেয়েছি। তার গ্রেপ্তার ও মামলা সংক্রান্ত কাগজপত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Post a Comment

0 Comments