Advertisement

রাত ১০টায় শপথ নেবেন বাইডেন, নজিরবিহীন নিরাপত্তা

অনলাইন ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ শপথ নেবেন জো বাইডেন। নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে রাজধানী ওয়াশিংটনে শপথ অনুষ্ঠানের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে।

দেশটির স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১০টা) শপথ অনুষ্ঠিত হবে। বাইডেনের পর ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিস শপথ নেবেন।

শপথ নেয়ার পরপরই নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সপরিবারে হোয়াইট হাউসে উঠবেন। এদিন জাতির উদ্দেশে তিনি ভাষণ দেবেন।

শপথ অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ হামলা এড়াতে ওয়াশিংটনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি দেশটির ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার পর এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।

মার্কিন আর্মি সেক্রেটারি রায়ান ম্যাকার্থি বলেছেন, ওয়াশিংটনের বেশিরভাগ রাস্তা এবং মেট্রো স্টেশনগুলোর পাশাপাশি জাতীয় উদ্যান হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল মল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভার্জিনিয়া রাজ্য থেকে শহরে প্রবেশের সেতুগুলোও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সহিংসতার হাত থেকে রক্ষায় হাজার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা শপথ এলাকাজুড়ে অবস্থান করছেন। তীব্র নিরাপত্তা উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও বাইডেন অনুষ্ঠানটি ঐতিহ্যবাহী স্থানে করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।

এদিকে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ১৬০ বছরের মার্কিন ঐতিহ্য উপেক্ষা করে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

বাইডেনের শপথের চার ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায় নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির স্থানীয় সময় বুধবার সকালে একটি বিদায়ী লালগালিচা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। মেরিল্যান্ড সামরিক ঘাঁটিতে তার বিদায় অনুষ্ঠান হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর জো বাইডেনের জন্ম। উত্তরপূর্ব পেনসিলভেনিয়ার স্ক্র্যানটনে বেড়ে ওঠেন তিনি। ডেলাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়াশোনার পাঠ চুকেন বাইডেন।

জন এফ কেনেডির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম ভক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালের দিকে ধীরে ধীরে রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন।

২০০৯ সালের ২০ জানুয়ারি বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত একই পদে ছিলেন তিনি।

Post a Comment

0 Comments