নিজস্ব প্রতিবেদক:
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮) ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে (৩১) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তবে মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। তারা হলেন, পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩) ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২০)।
সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল জনাকীর্ণ আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। আর তাতে আট আসামির সংশ্লিষ্টতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বোন শারমিন শহরিয়ার ফেরদৌস বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই আমরা।
এর আগে সোমবার দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু করেন। এসময় প্রদীপ দাশসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
0 Comments