ইয়াছমিন আকতার:
কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার সী আলিফ হোটেলের কক্ষ থেকে কন্যা শিশুসহ নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পলাতক স্বামী জেমিন বিশ্বাসকে চট্টগ্রাম শহর থেকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের নতুন ব্রীজ এলাকা থেকে বাকলিয়া থানার পুলিশ তাকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাকলিয়া থানার ওসি আবদুর রহিম।
তিনি জানিয়েছেন, কক্সবাজারের ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে আটকের বার্তা প্রেরণ করে। ওই বার্তার প্রেক্ষিতে নতুন ব্রীজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জেমিন স্ত্রীকে গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
আটক জেমিন বিশ্বাসের দেয়া তথ্য মতে ওসি আবদুর রহিম জানান, ৩ মেয়ে ও স্ত্রীসহ কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে স্ত্রী অসুস্থবোধ করলে তিনি বড় ও মেঝ মেয়েকে নিয়ে নাস্তা করতে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর হোটেল কক্ষে গিয়ে দেখতে পান বাথরুমে পানির বালতিতে ছোট মেয়ে পড়ে আছে। তাকে বালতি থেকে তুলে খাটে এনে দেখে মেয়ে মারা গেছে।
এতে রেগে গিয়ে প্রথমে থাপ্পর মারলে স্ত্রী পড়ে যায়। এরপর গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে স্ত্রীকে। জেমিন জানিয়েছে তার বড় মেয়ে নবম শ্রেনীতে এবং মেঝ মেয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। ২ মেয়েকে বাঁশখালী গ্রামের বাড়িতে রাখে দিয়ে জেমিন চট্টগ্রাম আসলে পুলিশের হাতে আটক হয়। তাকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আটক জেমিনকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে নিহত সুমা দে ও শিশু কন্যার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ পর্যন্ত কোন স্বজন কক্সবাজার এসে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় কলাতলীর সী আলিফ নামের আবাসিক হোটেলের ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহ ২ টি উদ্ধার করা হয়। এসময় ২ ছেলেকে নিয়ে নারীর স্বামী পালিয়ে যাওয়ার তথ্য জানানো হলেও এ ২ জন ছেলে নয় মেয়ে বলে জানিয়েছে আটক জেমিন।
0 Comments